স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি করতে হলে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স নিতে হয়। কিন্তু লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন উপজেলার অনেক ব্যবসায়ীই সেই লাইসেন্স নেননি। উপরন্তু অনেকের ট্রেড লাইসেন্সও নেই। এসব দোকানে নেই অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র। বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে প্রতিকারেরও কোনো ব্যবস্থা নেই।
বিস্ফোরক পরিদপ্তর বিস্ফোরক লাইসেন্স দিয়ে থাকে। সহজেই এ লাইসেন্স পাওয়া গেলেও অনেকেই তা নেন না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৫২ ধারা অনুযায়ী, সেবাগ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্ন হতে পারে এমন কোনো কাজ করলে তিন বছরের কারাদণ্ড, বা অনধিক দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ এ জ্বালানি সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করে খোলা আকাশের নিচে অবাধে বিক্রি হচ্ছে।
আরও জানা গেছে, নিয়মানুযায়ী যেসব দোকানে ৪০ থেকে ৫০টি এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে, সেসব দোকানে একটি করে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রাখতে হবে। কিন্তু অনেক দোকানে কোনো অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র নেই।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তার পাশের দোকানে বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার। এসব দোকানদার বেশির ভাগই বিস্ফোরক পরিদপ্তরের লাইসেন্স নেননি। তা ছাড়া তদারকির অভাবে ঝুঁকি জেনেও দোকানিরা সনদ ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছাড়াই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এক দোকানে নানা ব্র্যান্ডের এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। কোথাও কোথাও চা ও পানের দোকান ছাড়াও হার্ডওয়্যান, সিমেন্ট, মনোহরি ও মুদি দোকানেও এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার পাওয়া যাচ্ছে।